কালীগঞ্জে এক কিশোরকে থানায় ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ চেষ্টা’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী (৮)-কে ধৈঞ্চা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রিমন (১৫) নামে এক কিশোরকে থানায় ডেকে নিয়ে দিনভর দরবার করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে ‌তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১০ জুন) দিনভর থানায় দরবার করে রাতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করেছিল পুলিশ।

তবে পুলিশের দাবি মামলার‌ পর‌ আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কখন‌, কোন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলতে নারাজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন।

অভিযুক্ত রিমন তুমুলিয়া ইউনিয়নের অলুয়া এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ‌শিক্ষার্থী একই এলাকার সৌদি প্রবাসীর মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মামলার বাদী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর‌ মা।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছে, গত ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকেভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বাড়ীর পাশের রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজতে ছিল। সে সময় অভিযুক্ত রিমন ভুক্তভোগীকে একা‌ দেখতে পেয়ে আম কুড়ানোরপ্রলোভন দেখিয়ে অলুয়া গ্রামের জনৈক সাখাওয়াতের ধৈঞ্চা ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক তার পরনে থাকা কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে‌ রিমন। সে সময় প্রতিবেশী শাহিনুর এ‌ ঘটনা দেখতে‌ পেয়ে এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত ইমন‌ ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে গ্রেপ্তার কিশোরের কয়কেজন স্বজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, রিমনকে নিয়ে থানায় যেতে তার বাবাকে শুক্রবার সকালে ফোন করে এসআই কামাল হোসেন। পরে জুমার নামাজের পর রিমনকে থানায় নিয়ে যায় তার বাবা লিটন। পরে তাদের বসিয়ে রেখে দিনভর দরবার করে রাতে বাদীপক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ। পরে রিমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠিয়েছে এসআই কামাল হোসেন।

তারা আরো বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের‌ থেকে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগে রিমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার বাদী কোন‌ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রিমনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে {মামলা নাম্বার ৮(৬)২২}।

তবে কখন, কোন স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ‌করা হয়েছে। এর‌ বেশি বলা নিষেধ রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button