কালীগঞ্জে পিকনিকের ট্রলারে মাদক সেবন ও তরুণী নিয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা, ৭ জনকে কারাদণ্ড

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সরকারি আইন লঙ্ঘন করে কালীগঞ্জের বক্তারপুর এলাকায় বেলাই বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মৎস্য নিধানের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও বিলে পিকনিকের ট্রলারে মাদক সেবন করে তরুণী নিয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা করছিলো একদল যুবক। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে তিন মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী হলো বক্তারপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সিয়াম (৩৫)।
কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রাপ্তরা হলো, পূবাইল মাজুখান মধপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে সজিব (২০), মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সাজ্জিত রহমান (১৯), মাজুখান দক্ষিণপাড়া এলাকার আলতাফের ছেলে শান্ত (১৯), পূবাইল মারুকা এলাকার জাহিদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মারুফ (১৯) জসিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৫২), নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার বাগাতিপাড়া এলাকার বাবুল শেখের ছেলে রবিন (১৯) এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার কুতুবপুর এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে বায়েজিদ শান্ত (১৮)।
মোবাইল কোর্ট ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আইন লঙ্ঘন করে বক্তারপুর এলাকায় বেলাই বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মৎস্য নিধানের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে নৌকায় চড়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় ৯’শ মিটার কারেন্ট জাল ও ১০টি চায়না জালসহ অবৈধ জাল ব্যবসায়ী সিয়ামকে আটক করা হয়। তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ‘মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর ৪-ক (১) এবং ৫(২)-খ ধারা অনুযায়ী সিয়ামকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। একই সময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়ার নজরে আসে পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি পিকনিকের ট্রলারে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা করছিলো একদল যুবক। সে সময় ওই ট্রলারে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় ট্রলারে থাকা সাত যুবক সঙ্গে চার তরুণীকে নিয়ে মাদক সেবন করে উচ্ছৃঙ্খলতায় মগ্ন রয়েছে। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাদক সেবনের দায়ে অভিযুক্ত সাত জনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) ও ২১ ধারায় প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তরুণীদের মুচলেকা নিয়ে তাদের স্বজনদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সাত জন থানার হাজতখানায় রয়েছে। বুধবার তাদের গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।