কালীগঞ্জে মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে ছেলের আত্মহত্যা!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জে গণেশ চন্দ্র শীল (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে তার মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে ছিল।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বক্তারপুর ইউনিয়নের উত্তর ফুলদী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গণেশ চন্দ্র শীল উত্তর ফুলদী এলাকার গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে। সে টাঙ্গাইলে সরকারী একটি বাহিনীর ক্যাম্পে নরসুন্দর হিসেবে কাজ করতো।
বক্তারপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার ও স্থানীয়রা জানায়, পূজা উদযাপন করতে গণেশ চন্দ্র শীল তার কর্মস্থল থেকে বাড়ি এসেছিল। মঙ্গলবার রাতে সে তার বাবার সঙ্গে খাবার খেয়ে যথারিতি তার কক্ষে ঘুমিয়ে থাকে। সকালে তার বাবা ডাকতে গিয়ে কোন সারা-শব্দ না পেয়ে পাশের কক্ষের দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখে গণেশ চন্দ্র শীল ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছে। সে তার মায়ের শাড়ি কাপড় গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে ছিলো। তাৎক্ষণিক থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গণেশ চন্দ্র শীল রাতে মোবাইলে কারো সঙ্গে ঝগড়া করে পরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গণেশ চন্দ্র শীলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে মোবাইলের সিম ও মেমোরি কার্ড খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সে মোবাইল থেকে সিম ও মেমোরি কার্ড খুলে পরে মোবাইল ভেঙ্গে ছিল। এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম মিয়া বলেন, ঝুলন্ত অবস্থা থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গণেশ চন্দ্র শীলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কোন কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।