বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ স্বাভাবিক, ব্ল্যাকআউট অস্বাভাবিক

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ‘পাওয়ার স্টেশন ট্রিপ’ বা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। তবে এর কারণে সার্বিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়া বা ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলেই মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। দেশে গত আট বছরে কয়েক দফা গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই এক মাসের ব্যবধানে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে দুবার। প্রাথমিকভাবে এর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যাপক তারতম্যকে দায়ী করা হচ্ছে। ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনায় বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় শিল্পসহ অন্যান্য খাতকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুতের গ্রিড বিপর্যয় বা ব্ল্যাকআউটের ঘটনাগুলো পাওয়ার স্টেশন ট্রিপকেন্দ্রিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটলে গ্রিড বিপর্যয় হচ্ছে। এবারের ঘটনাটিও সে রকম। প্রাথমিক তদন্তেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনা শুধু যে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের ব্যবধান বেড়ে গেলেই হয়, এমনটি নয়। এর সঙ্গে আরো অনেক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্য, উৎপাদন-সরবরাহে বড় পার্থক্য, লোড ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক না থাকা, অটোমেশন না হওয়া, সঞ্চালন অবকাঠামো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ খাতের এসব সমস্যা সমাধান করা না গেলে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা বা ‘ব্ল্যাকআউট’ আরো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে গ্রিড বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক বর্তমানে ৪ কোটি ৩৬ লাখ। এর মধ্যে গত এক যুগে গ্রাহক তৈরি হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ। গ্রাহকের বিদ্যুেসবা নিশ্চিত করা গেলেও এসব গ্রাহকের ঠিক কী পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তা জানার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে ব্যবহার হচ্ছে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে পারছে না জ্বালানি বিভাগ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, প্রয়োজন বিবেচনায় আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়েছি। অথচ এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানির সংস্থান করতে পারিনি। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার গুরুত্ব যে সমান তাও অনুধাবনের চেষ্টা করিনি। সমন্বয়হীনতার কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন করা গিয়েছে ১১ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। এ সময় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৬৯৮ মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকা চাহিদা বিতরণ কোম্পানিগুলো লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে সমন্বয় করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুতের যে চাহিদা দেখানো হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তা আরো বেশি। তাদের ভাষ্য, চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি অন্তত দুই-আড়াই হাজার মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিংয়ের ব্যাপকতা বাড়ছে।

ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। সাধারণভাবে ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্টজে রেখে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ৪৮-৫২ হার্টজের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সির ওঠানামা স্বাভাবিক ধরে নেয়া হয়। তবে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হলে ফ্রিকোয়েন্সি এ সীমার নিচে নেমে যেতে পারে। এর প্রভাবে ঘটতে পারে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা।

হঠাৎ করে লোড অনেক বেশি বেড়ে গেলে গ্রিডে বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সি কমে যায়। তবে ফ্রিকোয়েন্সি স্থিতিশীল রাখতে অন্যান্য দেশে ব্যবহার হয় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। এতে লোডের হ্রাস-বৃদ্ধি ফ্রিকোয়ন্সির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (স্কাডা) চালুতে ২০১৬ সালে একনেকে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত স্কাডা সিস্টেমটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি চালু হলে প্রতিটি উপকেন্দ্র ও সুইচিং স্টেশনগুলোর মধ্যে সুষম লোড বণ্টনের মাধ্যমে বিদ্যুতের কার্যকর ও দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব।

পিজিসিবির এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে জানান, বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের সাম্প্রতিক যে চিত্র তাতে লোড ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখা অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ যে হারে প্রয়োজন, সেই হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা না গেলে ফ্রিকোয়েন্সির ওঠানামায় বড় তারতম্য দেখা দেয়, এতে বিঘ্ন ঘটে স্বাভাবিক সঞ্চালন কার্যক্রম।

বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কিংবা কোনো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে তাত্ক্ষণিকভাবে সেই চাহিদা পূরণ করে গ্রিডে দেয়ার মতো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা এখনো নেই। নতুন কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ ধরনের সিস্টেম স্থাপিত হলেও পুরনোগুলোয় এ প্রযুক্তি না থাকায় একটি কেন্দ্রের চাপ গিয়ে পড়ছে আরেকটির ওপর। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্কিট ব্রেকার পড়ে গিয়ে তা সার্বিকভাবে জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ বিঘ্নিত করে।

৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে যে বিপর্যয় হয়েছে, তা মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণের সমন্বয় না হওয়ায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনএলডিসি থেকে নির্ধারিত কোডের ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সমন্বয়টা ঠিকমতো না হওয়ায় এ ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরবরাহ সক্ষমতা ঠিক থাকতে হবে। বর্তমান জ্বালানি সংকটে বিপিডিবি সেই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না। সংস্থাটি গ্যাসভিত্তিক সাড়ে ১১ হাজারের মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি চালাতে পারছে না। অন্যদিকে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অন্তত ১০-১৫ দিনের জ্বালানি মজুদ থাকে। কিন্তু বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ঠিকমতো পেমেন্ট না পাওয়ায় তারাও জ্বালানি মজুদ ঠিকমতো রাখতে পারছে না। ফলে কোনো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হলে সেটি অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে মেটানো যাবে কিনা সেটি নির্ভর করছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানির ওপর।

একই সমস্যায় ভুগছে শিল্পমালিকদের পরিচালিত ক্যাপটিভ পাওয়ারগুলো। ১৫ পিএসআই চাপে তাদের কারখানার জেনারেটরগুলোতে গ্যাস না পাওয়ায় কখনো তা ৩-৪ পিএসআইয়ে নেমে আসছে। ফলে চাপ নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে নেমে এলেই জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক ও এনজেড ফ্যাব্রিকসের চেয়ারম্যান মো. সালেউদ জামান খাঁন বলেন, কারখানায় গ্যাসের চাপ রেগুলেটরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। সেখানে নির্দিষ্ট চাপের নিচে গ্যাস চলে গেলে জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায় এবং সার্কিট ব্রেকার পড়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে একটি স্পিনিং মেশিনের দুই লাখ সুতার জয়েন্ট ছিঁড়ে যায়। ডায়িংয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

গ্যাস সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ঠিক একই সমস্যায় পড়ে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট চাপে গ্যাস সরবরাহ না হলে পাওয়ার স্টেশন ট্রিপ হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্কিট ব্রেকার পড়ে যায়।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলী বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের উৎস মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোই। কারণ একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও সংযুক্ত প্রযুক্তির সংস্থান নেই। ফলে এমন সংকট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে অটোমেশন না হওয়ায় গ্রিড বিপর্যয় হচ্ছে। এগুলো সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরো বিপর্যয় ঘটতে পারে।

দেশে গ্রিড বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হলো এটির পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন না হওয়া। গ্রিড ব্যবস্থাপনার ৮০ শতাংশ অটোমেশন হলেও এখনো বাইরে রয়ে গিয়েছে অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে এগুলোর সরবরাহ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না পিজিসিবি। একই সঙ্গে গ্রিডের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী বলেন, গ্রিড বিপর্যয় নানা কারণে হতে পারে। জ্বালানি সংকটের কারণে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে। চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় গ্রিডে চাপ সৃষ্টি হলে বিপর্যয় হতে পারে।

পিজিসিবির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, দেশের অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রেই এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। অথচ সঞ্চালন অবকাঠামো বহু বছরের পুরনো। এগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তবে গত ৮-১০ বছর এ ধরনের কোনো কাজ হয়নি। এ কারণে লোডের চাপে সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ‘কাসটেড অ্যাটাক’ হয়।

গ্রিড বিপর্যয় কী কারণে হয় জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমত উল্লাহ জানান, জাতীয় সঞ্চালন লাইন স্বয়ংক্রিয় ও ম্যানুয়ালি দুই রকমই হতে পারে। উন্নত বিশ্বে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আধুনিকায়ন করা হলেও আমাদের বিদ্যুৎ খাতে এখনো তা গড়ে তোলা যায়নি। সঞ্চালন ব্যবস্থা পুরোপুরি অটোমেশন করা গেলে এ ধরনের বিপর্যয় এড়ানো যেত।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর। সেই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি কারিগরি ত্রুটি, দায়িত্ব পালনে সীমাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, কারিগরি ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ২০ দফা সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আট বছরেও সেসব সুপারিশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি পিজিসিবি। ২০১৪ সালের পর ২০১৭ সালের মে মাসেও গ্রিড বিপর্যয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ৩২টি জেলা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেও জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বেশকিছু এলাকা দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দেশে স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা এখনো চালু হয়নি। এ কারণে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস কিংবা কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা চালু হলে বিদ্যুতের লাইন কোথাও ট্রিপ করলে তাত্ক্ষণিকভাবে তা জানতে পারব। গ্রিডের যেকোনো স্থানে ত্রুটি দেখা দিলে কেন্দ্রীয়ভাবে সতর্কবার্তাও পাওয়া যাবে।

 

সূত্র: বণিক বার্তা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button