স্টেডিয়াম পরিচিতি : আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম

গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : আর মাত্র ৫ দিন বাকি, অতঃপর বেজে উঠবে দামামা, শুরু হবে লড়াই। মরুর দেশ কাতারে শুরু হবে ৩২ দেশের ফুটবল মহারণ। ৮টি রণাঙ্গনে হবে এই লড়াই। আজ থাকছে ‘আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম।’
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে আল রাইয়ান শহরের উম আল আফেইয়ে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি। শহরের নামের সাথে মিল রেখে অনেকে একে আল রাইয়ান স্টেডিয়াম নামেও ডাকা হয়। কাতারের বিখ্যাত এবং অন্যতম সফল ক্লাব আল রাইয়ান এসসির হোমগ্রাউন্ডও এটি।
কাতারের মরুভূমির প্রবেশদ্বার বলা হয় আল রাইয়ান শহরকে। শহরটি ঐতিহ্য, আভিজাত্য এবং সংস্কৃতির দিক থেকে কাতারের অন্য শহরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে। কাতারের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব আল রাইয়ান এসসি এই শহরেরই হওয়ায় ঐতিহ্যগতভাবেই এই শহরের মানুষ ফুটবলের সাথে পরিচিত। এই শহরের বাসিন্দারা তাদের প্রিয় শহরটাকে যেমন বুকের গভীরে লালন করে তেমনি তারা তাদের প্রিয় ক্লাবটিকেও বুকের গভীর থেকে ভালোবাসে।
মরুভূমির প্রবেশদ্বার খ্যাত আল রাইয়ান কাতারে সাংস্কৃতিক চর্চার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। শহরের বিভিন্ন স্থান জুড়ে আছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং মরুভূমির অপরূপ নিদর্শন। আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামটি নির্মাণেও এই বিষয়গুলোই মাথায় রাখা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উপকরণ দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
কাতারের অন্যতম প্রাচীন এবং বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামটি কালের প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার সংস্করণ করতে হয়েছে। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ২০১৬ সালে ফের স্টেডিয়ামটির সংস্করণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০২০ সালে। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমির কাপের ফাইনাল আল সাদ বনাম আল আরাবি ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটি উদ্ধোধন করা হয়। এছাড়া ২০২০ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেরও অন্যতম প্রধান ভেন্যু ছিল এটি।
৪০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ শেষে আসনসংখ্যা কমিয়ে ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। সেই জায়গাতে শপিংমল, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। বাকি আসনগুলো দান করা হবে কোনো অনুন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশের ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে।
দোহার খুব কাছাকাছি হওয়ায় খুব সহজেই দোহার মেট্রোরেলের আল রিফা মেট্রো স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটেই প্রবেশ করা যাবে স্টেডিয়ামটিতে। এছাড়া ম্যাচ চলাকালীন সময়ে দর্শকদের শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা-নেয়ার জন্য ফিফার এসি বাস সার্ভিস তো থাকছেই।
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণ এবং অসাধারণ নির্মাণশৈলী স্টেডিয়ামটিকে অনন্য মাত্রা দান করেছে। রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ১টি ম্যাচসহ এখানে বিশ্বকাপের মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।