ব্যায় কমাতে আরো চার হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে মেটা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আবারো কর্মী ছাঁটাই করল সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট মেটা। দ্বিতীয় দফায় মোট ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের যে ঘোষণা দিয়েছিল কোম্পানিটি তারই প্রথম চার হাজারের ঘোষণা এল এবার, যা সম্পন্ন হবে মে মাসের শেষ নাগাদ।

বৃহস্পতিবার দেওয়া এ ঘোষণায় ছাঁটাই তালিকার বেশিরভাগই কারিগরি কর্মীরা। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও গ্রাফিক্স প্রোগ্রামিং বিভাগের কয়েক হাজার কর্মী বুধবার তাদের লিংকডইন প্রোফাইলে তাদের চাকরি হারানোর বিষয়টি জানান। ‘মেটা’র একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংবাদ সংস্থা সিএনবিসিকে।

ফেইসবুকের বিজনেস প্রোগ্রাম ম্যানেজার তার লিংকডইন প্রোফাইলে লেখেন “ঘুম ভেঙে দেখি মেটা থেকে ছাঁটাই করে দিয়েছে”।

ছাঁটাই হওয়া এক কর্মী বলেছেন, কোম্পানিটি মে মাসের শুরুতে তাদের পণ্য ও বিপণনমুখী বিভাগে কর্মরত আরো কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিদায়ের পথে রয়েছে অর্থায়ন, আইন ও মানবসম্পদ বিভাগের আরো কয়েক হাজার কর্মী। তবে ওই ব্যক্তি তার পরিচয় প্রকাশ করেননি।

২০২২ সালে মেটার আয়ের প্রধান খাত বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ায় কোম্পানিটির মোট আয়ের দুই তৃতীয়াংশ কমে যায়। অক্টোবরে শেয়ার বাজার থেকে আট হাজার কোটি ডলার সরিয়ে নেয় বিনিয়োগকারীরা। এর ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে এবং মোট ২১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করে ২০২৩ কে ‘সক্ষমতা বৃদ্ধির বছর’ ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। যাতে ‘মেটা’র ব্যায় কমতে পারে তিনশ থেকে পাঁচশ কোটি ডলার।

মার্ক জাকারবার্গ মেটা’র যে ‘সক্ষমতা বৃদ্ধির’ যে কথা বলেছেন সেখানে তাদের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রকল্প মেটাভার্স কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মেটা সিইও একই রকম একাধিক প্রকল্প সংকোচন করে মেটাভার্সের মত সম্ভবনাময় প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও মেটাভার্সের রিয়ালিটি ল্যাব নির্মাণে চার দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুণতে হয়েছে এবং প্রকল্পটির ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট লোকসান এক হাজার তিনশ ৭২ কোটি ডলার।

ফেইসবুকেরে এই মূল প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী ছাঁটাইকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে ওয়ালস্ট্রিটের পুঁজিবাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে ২০২২ সালের অক্টোবরের ধসের শতকরা ৮১ ভাগ কাটিয়ে উঠেছে মেটা। আগামী সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের আয়ের রিপোর্ট প্রকাশের কথা রয়েছে। অনুমান বলছে, সেখানে প্রান্তিকে মেটার আয় আসতে পারে দুই হাজার ছয়শ থেকে দুই হাজার আটশ ৫০ কোটি ডলার। বাজার বিশ্লেষকরা দরপতনের আশংকা করলেও দুই হাজার আটশ ৫০ কোটি ডলার ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারলে, মেটার আয়ে পতন থামানো সম্ভব হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button