‘ইউক্রেনের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসা করে কিছু দেশ যুদ্ধকে খেলার বস্তু বানিয়েছে’

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছু দেশ প্রথমে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার পর তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে কিছু দেশের স্বার্থ রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে অস্ত্র বিক্রি এবং অস্ত্র ব্যবসা।

ফ্রান্সের মার্সেই নগরী থেকে ভ্যাটিক্যানে ফেরার পথে বিমানে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা করছেন তা সফল না হওয়ায় হতাশ কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস এ মন্তব্য করেন।

তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ইতালির কার্ডিনাল ম্যাত্তিও জুপ্পিকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে কিয়েভ, মস্কো, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ে পাঠিয়েছেন। পোপ ফ্রান্সিস ওই সাংবাদিককে বলেন, তিনি কিছুটা হতাশ হয়েছেনই।

এরপর তিনি অস্ত্র ব্যবসা, সামরিক শিল্প এবং যুদ্ধ সম্পর্কে ঢালাও বক্তব্য দিতে শুরু করেন। পোপ বলেন, “আমাদেরকে বিষয়টিকে খেলার বস্তু বানানো উচিত নয়। আমাদের উচিত তাদেরকে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করা। আমি এখন দেখছি কিছু দেশ পিছু হটে যাচ্ছে এবং ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দিতে চাচ্ছে না।”

পোপের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভ্যাটিক্যানের মুখপাত্র ম্যাত্তিও ব্রুনি। তিনি দাবি করেছেন, পোপ তার বক্তব্যের মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া উচিত নাকি বন্ধ করে দেয়া উচিত সে সম্পর্কে কোনো অবস্থান গ্রহণ করেননি।

ব্রুনি বলেন, পোপ অস্ত্র ব্যবসার পরিণতির কথা বলতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা অস্ত্র সরবরাহ করে তারা কখনও এর পরিণতি ভোগ করে না। বরং ইউক্রেনের জনগণের মতো এমন কিছু জনগোষ্ঠী এই অস্ত্রের অর্থ শোধ করে যাদেরকে ওই অস্ত্রের আঘাতে মরতে হয়।

পোপ এমন সময় এসব কথা বললেন যখন মার্কিন প্রশাসন সম্প্রতি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, এ পর্যন্ত ওয়াশিংটন কিয়েভকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের চেয়ে বেশি মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button