দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানোর পরিকল্পনা বিএনপির: প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচনের সিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।”
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশে দেবেন। যদি আগুন সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের প্রতিহত করে আগুনেই ফেলে দিতে হবে।”
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ভোটের আয়োজনে অনেদূর এগিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর ভোটের প্রচারণা নামতে পারবে প্রার্থীরা।
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দলটি আন্দোলন করছে। এবারের নির্বাচনে ২৯টি দল প্রোর্থী দিয়ে ভোটের মাঠে প্রতিযোগিতা করবে।
দেশের ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদ শেষ করলো। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে এখনো আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানবেন বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী পালে হাওয়া দিচ্ছেন তারা।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮.০৪% ভোটারের রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে ৭২.১৪% ভোট পায় আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে দলটি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়ে ৭৬.৮০%। তৃতীয় মেয়াদেও সংসদে নেতৃত্ব দেয় দলটি।