কালীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাদের উপর হামলা, অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না!

নিজস্ব সংবাদদাতা : কালীগঞ্জে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচন করায় ছাত্রলীগ নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেও আইনি কোন সহায়তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মেহের আফরোজ চুমকি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, দলীয় অফিস, নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ও প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে চলছে লাগাতার। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বলে দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা নেয়া হবে।
থানায় দায়ের করা এজাহার ও ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কালীগঞ্জের একাধিক স্থানে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি রাতে কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত মেলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের হাসান (২৭) ও তার সহযোগীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা। এ বিষয়ে পরদিন জুবায়ের হাসান বাদী হয়ে থানায় ট্রাক প্রতীকের ৭ সমর্থকের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রোববার পর্যন্ত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এছাড়াও কালীগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত মেলায় ২০ জানুয়ারি রাতে একা পেয়ে সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরকে (২২) মারধর করে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা। এ বিষয়ে আবু তাহের বাদী হয়ে ট্রাক প্রতীকের দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মেহের আফরোজ চুমকি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, দলীয় অফিস, নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ও প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে চলছে লাগাতার। প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। দু-একটি মামলা নথিভুক্ত করলেও আসামিরা এলাকায় ঘোরাফেরা করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বলে দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা নেয়া হবে। পুলিশ আমার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সর্বশেষ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করেছে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত আইনি কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো জানতে…………..