নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নরসিংদীর মাধবদী, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে আটজন।
এর আগে আজ সকালে ফরিদপুর এবং লালমনিরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল আরও ৯জন।
নরসিংদীর মাধবদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
বুধবার (০৫ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর ভগিরথপুর-শিবপুর উপজেলার সিএনবি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২০), মাধবদী থানার আলগী গ্রামের তালিম মিয়ার ছেলে পাওয়ারলুম শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (২৮)।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে তিশা পরিবহনের একটি বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিল। গাড়িটি সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর ভগিরথপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা মাধবদীগামী রংধনু পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।
অপরদিকে, সকালে শিবপুর উপজেলার সিএনবি এলাকায় বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একজন নিহত হন। নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাস দুইটি আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের ভুইয়াগাঁতী, তবারিপাড়া ও ষোল মাইল এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে- নেত্রকোণা জেলার বাসিন্দা ফারুক (৪০) ও চন্দনের (৩৮) নাম জানা গেছে। বাকি হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রায়গঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (এসও) সেরাজুল ইসলাম জানান, দুপুরে ভুইয়াগাঁতী পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় একটি মিনি ট্রাকের সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে মিনি ট্রাকের চালক ফারুক ও হেলপার চন্দন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনই মারা যান।
অপরদিকে, সকালে একই মহাসড়কের তবারিপাড়া এলাকায় ঢাকাগামী ডিপজল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের হেলপারসহ সাতজন আহত হন। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পর দুপুরের দিকে বাসের হেলপার মারা যান।
ওই দুর্ঘটনার আধঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই মহাসড়কের ষোলমাইল এলাকায় ঢাকাগামী আদর পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে সাত যাত্রী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা নামক এলাকায় পিকআপ ভ্যান-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন।
বুধবার (০৫ জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, দুপুরে কালিহাতী উপজেলার সল্লা নামক এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়। আহত হয় আরো পাঁচজন।
আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান চিকিৎসারত অবস্থায় আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম সজিব (১৪)। বাড়ি বাসাইল উপজেলার জীবনেশ্বর গ্রামে।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে……….