যশোর পুলিশে বদলি আতঙ্ক
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : যশোরে পুলিশের মধ্যে বদলি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চলতি মাসে বড় ধরনের বদলি হচ্ছে এমন সংবাদে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বেশি দেখা দিয়েছে। প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য বদলির আওতায় রয়েছেন বলে খোদ পুলিশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, যশোরে বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি এবং ক্যাম্পে এক নাগাড়ে ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে এভাবে দিনের পর দিন একই স্থানে দায়িত্ব পালনে সীমাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
এ ছাড়া জেলার মধ্যে ক্যাম্প থেকে থানা অথবা থানা থেকে ক্যাম্পে নিজ উদ্যোগে বদলির ব্যবস্থা করছেন অনেকেই। অসাধু উপায়ে এসব বদলি হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন যোগদান করেই পুলিশের হারানো সুনাম উদ্ধার এবং পুলিশ জনগণের বন্ধু সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে থানার ওসিদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আর এ জন্য একই জাগায় দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান, জেলার মধ্যে বারবার বদলি পুলিশ সদস্যদের জেলার বাইরে বদলির ব্যবস্থা করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিনুর রহমান, এসআই জাহিদুর রহমান, এসআই খবির হোসেন, এসআই মানিক চন্দ্র গাইন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসআই মোল্যা আবুল খায়েরসহ যশোরের ৯টি থানা, ক্যাম্প, তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে আরও প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্যকে বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আনসার উদ্দিন জানান, যশোরে পুলিশে যে বদলি শুরু হয়েছে সেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বদলি। ৬০০ পুলিশ সদস্যকে বদলির কথা সঠিক নয়। তবে, ডিআইজি স্যার পুলিশের সুনাম রক্ষার্থে এবং হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, যশোরে যেসব পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় রয়েছে। তাদের একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে ফেলে জেলার বাইরে বদলি করা। সে ক্ষেত্রে যশোরে প্রায় ২৩শ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ২-৩০০ হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলে তিনি জানান।