মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা পাঠাচ্ছে হোয়াইট হাউজ

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা পাঠাবে ওয়াশিংটন। অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর নির্বাহী আদেশের দু-দিন পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত জানালো হোয়াইট হাউজ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এই দেড় হাজারের মধ্যে থাকবেন পাঁচশ মেরিন, আর্মি হেলিকপ্টার বাহিনীর সদস্য এবং বিশ্লেষকরা। ইতোমধ্যে সেখানে দায়িত্বরত দুই হাজার ২০০ সেনা ও কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা।

নিজের প্রথম মেয়াদে মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষায় পাঁচ হাজার ২০০ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সদ্যসাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সীমান্তে সক্রিয় সেনা মোতায়েন করেছিলেন।

হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেছেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি ট্রাম্পের প্রথম কার্যদিবসের সিদ্ধান্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ভর করবে সামরিক প্রস্তুতি ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির চাহিদার ওপর।

ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট স্যালেসেস জানিয়েছেন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অভিবাসী বিতাড়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাঁচ হাজার অভিবাসীকে বিতাড়ন করা হবে।

তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক অনুমোদন আদায় করবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দা অধিদফতর পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্তে মোতায়েন হতে যাওয়া নতুন দেড় হাজার সেনার কাছে আইন প্রয়োগের দায়িত্ব থাকবে না, বরং তারা প্রশাসনিক ও সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

হোয়াইট হাউজে প্রথম দিনেই অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সংকট নিরসনে সামরিক বাহিনীকে সীমান্ত সুরক্ষায় সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আশ্রয়প্রার্থীদের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button