আলোচিতসারাদেশ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের নীমতলা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের সজোরে ধাক্কায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হলে, দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসকরা চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ফকির (৬০), তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা (২২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদার (২৮)। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।

নিহতদের পরিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, বিল্লাল ফকিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩০) চিকিৎসার জন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের ১০ জন ঢাকার ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়। চালক মাহবুব সরদার রাস্তায় নামিয়ে চাকা মেরামতের কাজ করছিলেন। এ সময় পরিবারের কয়েকজন ভেতরে ও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঠিক তখনই কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস পিছন থেকে এসে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে সজোরে ধাক্কা দেয়।

বাসের হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নীমতলা এলাকায় ডান পাশে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটিকে তারা অনেকটা কাছ থেকে দেখতে পান। তবে গতি বেশি থাকায় চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও বাসটি থামাতে পারেননি। মুহূর্তেই ঘটে ভয়াবহ সংঘর্ষ।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “হাইওয়ে থেকে আহতদের হাসপাতালে আনার পর চারজন মারা যান। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ। বাকি আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।”

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “মাওয়ার নিমতলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে যত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাস ও অ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button