কালীগঞ্জ থেকে আবু বকরকে সরিয়ে ওসি হিসেবে এ কে এম মিজানুল হককে পদায়ন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নানা অনিয়ম আর অভিযোগের পর অবশেষে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়াকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক মিজানকে।
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কালীগঞ্জ থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এ কে এম মিজানুল হক মিজান। অপরদিকে আবু বকর মিয়া দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
যোগদানের বিষয়টি এ কে এম মিজানুল হক মিজান নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক মিজান সর্বশেষ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বহিরাগত ক্যাডেট ‘উপ পরিদর্শক(এসআই)’ হিসেবে এ কে এম মিজানুল হক মিজান চাকরিতে যোগদান করেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। তার জন্ম ১৯৭৫ সালে।
তিনি পুলিশের ‘উপ পরিদর্শক (এসআই)’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায়। পরবর্তী সময়ে একই জেলার কালিহাতি, ঘাটাইল এবং গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর থানায় দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আবারো টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় এবং সর্বশেষ মির্জাপুর থানায় এস.আই হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করেন।
শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১০ সালে দেশে ফেরার পর পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে একই জেলার মদ্যনগর ও জামালগঞ্জ থানায় এবং মানিকগঞ্জের গোলড়া এবং ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি’র দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ গত ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অফিসার ইনচার্জ হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যোগদান করেন। এরপর গত ২০ জুলাই টাঙ্গাইল সদর, কালীহাতি, গোপালপু এবং মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক মিজানসহ চার থানার ওসিকে একযোগে বদলী করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওসি এ কে এম মিজানুল হক মিজান টাঙ্গাইল জেলায় একজন নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি কবি, সাহিত্যিক ও ভাল লেখক হিসেবেও পরিচিত।
অপর দিকে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়ার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সাবেক এমপি-পুত্র হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামির নাম বাদদিয়ে গোপনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এছাড়াও এক মাদক কারবারিকে ছেড়ে দিয়ে রিকসা চালকের নামে মাদকের মামলা দিয়ে আলোচনায় এসেছিল (ওসি) আবু বকর মিয়া।
এর আগে পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার না করে বরং তাকে সাথে নিয়েই ওসি’র অফিস কক্ষে দীর্ঘ সময় মিটিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বকর মিয়ার বিরুদ্ধে।
আরো জানতে…….
এমপি-পুত্র হত্যায় জালিয়াতির অভিযোগ কালীগঞ্জের ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে!
এবার ‘দারোগার কুকির্তী সাংবাদিক ডেকে প্রকাশ’ করলো ওসি!
পলাতক আসামীর সঙ্গে থানায় ওসি’র মিটিং!
ওসি’র নির্দেশে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দিয়ে রিকসা চালকের নামে মাদকের মামলা দিল এসআই আব্দুর রহমান!
‘হত্যাকারী যুবলীগ নেতা’ সুব্রতকে বাঁচাতে মরিয়া পুলিশ?
হত্যায় জড়িত ‘প্রভাবশালী’, তাই পাঁচ বছরেও শেষ হচ্ছে না ব্যবসায়ী কৃষ্ণ হত্যা মামলার তদন্ত!