‘ক্লু- লেস সাধারণ ডায়েরি’ তদন্তে রহস্য উদঘাটনের স্বীকৃতি পেলেন এসআই শাকিব

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিব হাসান ক্লু- লেস সাধারণ ডায়েরি তদন্ত করে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পর আসামি গ্রেপ্তারের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা স্মারক সনদপত্র ও নগদ অর্থ লাভ করেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, (বিপিএম) (পিপিএম) আনুষ্ঠানিকভাবে শাকিব হাসানের হাতে এ পুরষ্কার প্রদান করেন।

এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আবুল কালাম ছিদ্দিক, অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এবং গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার (পিপিএম) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিব হাসান জানান, গত ২ জানুয়ারি রাতে কালীগঞ্জের নারগানা এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ ধরতে যান বোরহান মিয়া (৩৮)। পরের দিন বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা নদীসহ আশপাশের এলাকায় খোঁজ নেয়। কোথাও সন্ধান না পেয়ে তাঁর স্ত্রী তানিয়া বেগম ৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জ থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাধারণ ডায়েরি তদন্তকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কমল নামে এক যুবক স্বীকার করেন, নিখোঁজের রাতেই নৌকায় ঘুমন্ত অবস্থায় শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বোরহানকে তিনি ও তাঁর চাচা পরিমল হত্যা করেন। পরে লাশের সঙ্গে ইট বেঁধে জাল পেঁচিয়ে নৌকাসহ নদীতে ডুবিয়ে দেন তারা। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিমল ও তাঁর ছেলে পাপনকে আটক করা হয়। পরে তাদের নিয়ে বোরহানের লাশ উদ্ধারের জন্য ১৬ জানুয়ারি বুধবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নদীতে তল্লাশি করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারগানা গুদারাঘাটের এলাকা থেকে বোরহানের লাশ ও নৌকা উদ্ধার করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তানিয়া বেগম মামলা বাদি হয় একটি হত্যা দায়ের করেন। পরে পরিমল চন্দ্র বর্মন (৫২), তাঁর ছেলে পাপন চন্দ্র বর্মন (১৯) এবং তাঁর ভাতিজা কমল চন্দ্র বর্মনকে (২৮) গ্রেপ্তারদেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তাদের মধ্যে দু’জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা স্মারক সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button