গাজীপুরে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে ডিবি পুলিশ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার অপর আসামি হলেন ডিজিটাল মিডিয়ার উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা বিভাগ) ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স মামলটি দায়ের করেন। 

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল মিডিয়া উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল গত এক ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ওই সাক্ষাৎকার প্রদানকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোন নারীর জন্য মর্যাদাহানীকর ভাষা ব্যবহার করেন। যা পরবর্তীতে ডা. মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে প্রচার ও প্রকাশ করেন।

এজাহারে আরো অভিযোগ করা হয়, আসামিদ্বয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, অশালীন, মিথ্যাচার এবং নারী বিদ্বেষী ও নারীর প্রতি এই অবমাননামূলক বক্তব্য দিয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উক্ত ভিডিও প্রকাশ ও প্রচার করেছেন। যা জিয়া পরিবারের সাথে সাথে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মর্যদাহানীকর ও অপমানজনক। এছাড়া জাতীয়বাদী শক্তিকে আহত করে মানসম্মান নষ্ট করেছে। অদ্যাবধি উক্ত ভিডিওটি লক্ষাধিকবার দেখা হয়েছে এবং অগণিত মন্তব্য করা হয়। উক্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে সমাজের সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে, ডা. মুরাদ বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৮নং অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন, তা ক্রমাগতভাবে নানাবিধ বক্তব্যে এবং কর্মকমান্ডে ইতিমধ্যে লঙ্গন করেছেন। তাছাড়া ভিডিও ধারণ ও ফেসবুকে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর ও অপমানজনক এবং আইনগত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে (পেনাল কোড ৫০৫-ক/৫০৯ ধারার) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী অ্যাড. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, গাজীপুর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবিকে তদন্ত করে আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button