স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ট্রফি উপহার বাংলাদেশের মেয়েদের
গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েরা সবসময় ভালো করে আসছে। আগেও সাফল্য এসেছে। আর এবার ঢাকার মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে মারিয়া মান্দারা। ফেভারিট ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে ট্রফি জয়ের উল্লাসে মাতলেন তারা। আর এই ট্রফি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মানুষকে উপহার দেওয়ার কথা জানালেন অধিনায়ক মারিয়া।
অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু কী তাই, গোটা টুর্নামেন্টে একটি গোলও হজম করেনি স্বাগতিকরা। এমন জয়ে খুব খুশি মারিয়া। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের ফাইনাল শেষে তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে সবাইকে আমরা একটা উপহার দিলাম। দেশের মাটিতে খেলা, অনেক দর্শক এসেছিলেন মাঠে। তাদের আমরা ভালো খেলা উপহার দিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ, তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। অনেক ভালো লাগছে, আমরা তাদের শিরোপা উপহার দিতে পেরেছি।’
মেয়েদের ফুটবলে অনেক দিন ধরেই কোচ হিসেবে কাজ করছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তিন বছর পর আবারও সাফল্য পেয়ে বেশ খুশি এই অভিজ্ঞ কোচ। মেয়েদের ফুটবল যে সঠিক পথে আছে তা আবারও উচ্চারিত হলো তার কণ্ঠে, ‘এই প্রতিযোগিতায় মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলেছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল জিতবো। ম্যাচে আধিপত্য রেখে খেলেছি। তবে গোল পেতে দেরি হচ্ছিল। অবশেষে গোল এসেছে। প্রচুর অনুশীলনের কারণে ম্যাচে ফিটনেস পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড় ছিল, যারা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই সাফল্যে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে। সঠিক পথেই আছে মেয়েদের ফুটবল।’
ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। যদিও গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচে তার নামা হয়নি। আনন্দ ছুঁয়েছে তাকেও, ‘অনেক, অনেক ভালো লাগছে। সবাই আমাদের সমর্থন করেছেন, আমরাও তার প্রতিদান দিয়েছি। আসলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার প্রত্যাশা করিনি… আল্লাহর রহমতে এটা হয়ে গেছে।’
আরেক মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘আসলে আমরা মাঠে যখন নেমেছি… আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি। মারিয়ার সঙ্গে আমার বোঝাপড়া খুব ভালো। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, খুব ভালো লাগছে।’