জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ৬ দিনেও চালু হয়নি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে দেশের অন্যান্য স্টেশনের মতো বন্ধ হয়ে যায় নরসিংদীর ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিট। এক ঘণ্টার চেষ্টায় ৪ নম্বর ইউনিট পুনরায় চালু করা গেলেও সেফটি ভাল্ব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ছয় দিনেও চালু করা সম্ভব হয়নি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পাঁচ নম্বর ইউনিট।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ইউনিটটি চালু করতে আরও একদিন সময় লাগবে।
ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে ৪ নম্বর ইউনিট চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিটটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটের সেফটি বাল্ব ফেটে গিয়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, ইউনিট চলার জন্য মেটাল তাপমাত্রা থেকে রোটর তাপমাত্রা কমবেশি থাকা জরুরি। সেটা না থাকলে টারবাইনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে সেটা তাৎক্ষণিক চালু করা না গেলে টেম্পারেচারের মাত্রা ঠিক করতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লেগে যায়। ওই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ৫ অক্টোবর ৫ নম্বর ইউনিটটিতে পাওয়ার দেওয়ার পর লোডিংয়ের সময় দু’টি টেম্পারেচার সমপরিমান হয়ে যায়, যে কারণে এই ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি।’ তবে আগামীকাল সোমবার নাগাদ এটি চালু হয়ে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর দুপুর দুইটার কিছু সময় পর জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বিপর্যয় দেখা দেয়। যে কারণে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের একটা বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, পিএম কার্যালয়, রাষ্ট্রপতির ভবনও বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এই বিপর্যয়ের কারণে পূর্বাঞ্চল গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদন শূন্যে নেমে এসেছিলো। ওই সময়ে এক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ৮৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা কাটিয়ে উঠতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লেগে যায়।