ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কারাগারে

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. শহীদুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-৩-এর বিচারক আব্দুস সালাম এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বছরের ১৩ মার্চ খুকৃবির সাবেক উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মী। তাতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

আদালতের আদেশে ১৪ মার্চ মামলার এজাহার গ্রহণ করে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা। ওই মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশে এতদিন তারা জামিনে ছিলেন। রবিবার তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। সোমবার সাবেক উপাচার্য শহীদুর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান আবেদন বাতিল করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, “ভুক্তভোগী নারী ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শহীদুর রহমান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলায় একা থাকতেন। সেখানে খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্ট্রার ওই নারীকে উপাচার্যের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন।”

“এরপর থেকে ওই নারী প্রতিদিন তাকে খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে উপাচার্য বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানান।”

“২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই ভুক্তভোগী খাবার দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় উপাচার্য তাকে ধর্ষণ করেন।”

এ ঘটনার পর উপাচার্যের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। তবে পরে উপাচার্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হন।

২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উপাচার্য হিসেবে ড, শহীদুরের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button