ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একই বিভেগের এক নারী শিক্ষার্থী।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। এতে ওই শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিভিন্ন হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও বলতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবও দিতেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই বাসায় ডাকতেন। তিনি বিষয়টি নানান চতুরতায় এড়িয়ে যান। তার হয়রানিতে ওই শিক্ষার্থী একপর্যায়ে মানসিক ট্রমায় ভুগতে থাকেন। রাতে ঘুমাতে পারতেন না তিনি। এ জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রায়ই ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। গত বছরের শুরুতে তিনি মানসিক কাউন্সিলিংও করেন। অধ্যাপক নাদির জুনাইদের হয়রানি থেকে বাঁচতে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মাস্টার্স না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়বেন বলেও অভিযোগপত্রে ‍উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, আমি সাধারণ ছাত্রী, আর তিনি ক্ষমতাধর এই ভেবে দেড় বছর অত্যাচার সহ্য করেছি। তিনি শরীর নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নানাভাবে প্রলোভন দেখাতেন। বিয়ে করে সম্পত্তির উত্তরাধিকার বানানো, আর্থিক সচ্ছ্বলতার প্রলোভনও দিতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমি মেয়ে কিনা, কোনো সমস্যা আছে কিনা এমনও অশালীন এবং অস্বস্তিকর কথা বলতেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।

এরপর একই বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ তোলেন, তার মাস্টার্সের ভাইভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ‘কুকুরের ৫টি জাতের নাম’ জানতে চেয়েছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button