ড্রোনের কাছে ধরাশায়ী আমেরিকার আব্রামস ট্যাঙ্ক: মার্কিন অস্ত্রের দুুর্বলতার রহস্য

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন মোট ৭৯৮টি ট্যাঙ্ক হারিয়েছে যার মধ্যে কিছু আমেরিকা কিয়েভকে দান করেছিল।

সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি আমেরিকানদের জন্য একটি মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, সামরিক বিশেষ অভিযানের সময় আমেরিকার তৈরি ট্যাঙ্কগুলো রুশ ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং ধ্বংস করা হয়।

মার্কিন দৈনিক সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক নিবন্ধে লিখেছে যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গত দুই মাসে ড্রোন হামলায় আমেরিকার দেয়া পাঁচটি আব্রামস ট্যাঙ্ক হারিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে যে ইউক্রেনে ড্রোন যুদ্ধ যা আধুনিক যুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছে সেটি আমেরিকার সামরিক শক্তির অন্যতম শক্তিশালী প্রতীক – ট্যাঙ্কের উপর এক ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধ অনুসারে, ড্রোন প্রযুক্তির আকার এবং জটিলতার উপর নির্ভর করে এই ড্রোনগুলোর জন্য কমপক্ষে ৫০০ ডলার খরচ হতে পারে। আর এটি নিজেই ১০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন অ্যাব্রাম ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য একটি ছোট বিনিয়োগ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমটি তার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে যে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের শুরু থেকে ইউক্রেন মোট ৭৯৬টি ট্যাঙ্ক হারিয়েছে।

এছাড়াও, জাতিসংঘের প্রাক্তন অস্ত্র পরিদর্শক ‘স্কট রিটার’, যিনি আবার এক সময় মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের তহবিল দিয়ে কেনা শেষ সরঞ্জামটি জুলাইয়ের মধ্যে রাশিয়া ধ্বংস করবে।

উইসকনসিন রাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর রন জনসনও এই প্রসঙ্গে হতাশা ব্যক্ত করে করেছেন যে ইউক্রেন এবং অন্যান্য দেশের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অকেজো বলে বিবেচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যত ক্রমেই কেড়ে নিচ্ছি। আমরা প্রতিরক্ষার জন্য ৯০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছি, কিন্তু প্রতিবারই যখন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এটি আমাদের কাছে আরো স্পষ্ট হয়েছে যে আমাদের আরও কিছু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের অর্থ ব্যয় করার আগে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button