সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নুহাশ পল্লীতে দোয়া মাহফিল ও পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই শ্রদ্ধা জানাতে হ‌ুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য, হিমু পরিবহনের সদস্য, ভক্তবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ নুহাশ পল্লীতে এসেছে।

বেলা সোয়া ১০টার দিকে কবর জিয়ারত করেন হ‌ুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, বোন সুফিয়া খাতুন, রোকসানা আহমেদ, আহসান হাবীবের স্ত্রী আফরোজা আমীনসহ পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও মোজানাত করেন।

এর কিছুক্ষ আগে হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত ও দোয়া অংশ নেন হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল, নুহাশ পল্লীর কর্মচারী ও আশপাশের মাদ্রাসার ছাত্ররা।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বলেন, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদের অনেক স্বপ্ন ছিলো। আর বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি অনেক স্বপ্নই পূরণ করে গেছেন। তার একটা স্বপ্ন ছিলো ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। এটা তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। তিনি মারা গেছেন। আমরা যারা আছি, এটা নিয়ে কাজ করছি। ক্যান্সার হাসপাতালও ইনশাল্লাহ হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদের সব লেখাই প্রকাশিত হয়েছে। তার কোনো অপ্রকাশিত লেখা নেই। এখন যেটা করা হচ্ছে, সেটা হলো-তাঁর সমস্ত লেখা যাতে নির্ভুলভাবে বের হয় সেই চেষ্টাটা করা হচ্ছে। একটা আর্কাইভ করা হয়েছে। সেই আর্কাইভে তাঁর লেখাগুলো নির্ভুলভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ হয়ে গেছে। এটা যখন পুরোটা সংরক্ষিত হবে, যারা হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে পিএইচডি করেন/করবেন তাদের জন্য এটা বিরাট সুবিধা হবে।’

হ‌ুমায়ূন আহমেদের শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী জানান, শাওন চলচ্চিত্র বিষয়ক ছয় মাস ব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ নিতে দুই ছেলেকে নিয়ে আমেরিকায় গেছেন। এর জন্য তারা নুহাশ পল্লীর কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি। তবে সেখানে হুমায়ুন আহমেদের একটি স্বরণসভায় শাওন যোগ দেবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button