যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার মামলায় এএসপি কারাগারে

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের এএসপি নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আসামি নাজসুস সাকিব সর্বশেষ খাগড়াছড়ির এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চার সপ্তাহের জামিন শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন চাইলে আদালত না নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৬ এর বিচারক আব্দুল আল মামুন এই রায় দেন।

গত ৪ মে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী ইসরাত রহমান। মামলায় সাকিবের বাবা ও মাকেও আসামি করা হয়। গত ১৮ আগস্ট নাজমুস সাকিবকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিন বছর আগে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কন্যা ইসরাত রহমানের। স্ত্রী ইসরাতের দাবি, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। স্বামীর নির্যাতনে কয়েকবার হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাত রহমান।

এএসপি নাজমুস সাকিবকে গত ২৮ আগস্ট থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনও আদেশ এখনও খাগড়াছড়ির এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ পাননি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button