ভোটার বাড়লে অনিয়ম বাড়ত : ইসি সচিব
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের হতাশা থাকলেও তার একটি ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে গেলে অনিয়ম বাড়ত। প্রকৃত কত লোক ভোটকেন্দ্রে আসে, সেটাই চেয়েছি।’
রবিবার চতুর্থ ধাপে ১০৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে একথা বলেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ধাপে আমরা চেয়েছি ভোট যেন শান্তিপূর্ণ হয়, প্রাণহানি যেন না হয়, অনিয়ম যাতে না হয়। চার ধাপে একজনেরও প্রাণহানির ঘটনা হয়নি। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে। সামগ্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।’
বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যে এবার উপজেলা ভোট জৌলুসহীন হয়ে পড়ে। ৩০টি উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
চার ধাপের মধ্যে আগের তিনটি ধাপের কোনোটিতেই ভোটের হার ৪৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের খরার জন্য সিইসি কে এম নূরুল হুদাও বিএনপির বর্জনকে দায়ী করে বলেছিলেন, এক্ষেত্রে তারা আর কিইবা করতে পারেন?
উপজেলায় প্রথম ধাপে ৪৩ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ৪১ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। চতুর্থ ধাপেও ভোটের হার এমনই হবে বলে ধারণা ইসি সচিবের।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল স্থানীয় এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আবার যারা অংশ নিয়েছে, তাদের স্বতস্ফূর্ততার কারণে এ ভোটের হার হয়েছে। এটা তাদের সমর্থকগোষ্ঠীর ভোট বলা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ভোট বর্জন করেছে, তারা ভোটে (ভোটকেন্দ্র) যায়নি। আর কেন্দ্রে যারা এসেছে, তারা ভোটে থাকা (আওয়ামী লীগ) দলের সমর্থকগোষ্ঠীর ভোটার। এটাই হতে পারে। আমাদের অনুমান ৪০ শতাংশ ৪১ ভোট পড়েছে, তা একটা দল যে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরই।’