নদী পরিব্রাজক দলের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আরমান, সম্পাদক রফিক

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নদী ও পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, যারা নদী ভ্রমণ করে, সরেজমিন নদী পরিদর্শন করে, নদীর অর্থনৈতিক ও পর্যটন গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে, নদী বিষয়ে নদী পাড়ের মানুষের সাথে তথ্যের আদান প্রদান করে, নদী পাড়ের মানুষ ও তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করার চেষ্টা করে। সংগঠনটি বিশ্বাস করে নদী পাড়ের মানুষ ও তরুণ সমাজ নদী বিষয়ে সচেতন হলে নদী সুরক্ষার কাজটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

এরই অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল’ কালীগঞ্জে উপজেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা করেছে।

২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে আব্দুর রহমান আরমানকে সভাপতি ও রফিক সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

সোমবার বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন প্রদান করেন।

কমিটির অন্য কর্মকর্তারা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম আইয়ুব, সহ-সভাপতি এম.এ সাদ্দাম হোসেন (রুবেল পালোয়ান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর আলী মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাফুজা আফরিন মনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক যীনাত রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জোনাহিদ হাসান সাগর, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আল আমিন, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ খান, গণ সংযোগ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, জীব ও বৈচিত্র বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, নির্বাহী সদস্য কাজী শহীদ, মেহেদী হাসান, এইচ.এম ইব্রাহিম, নুুরুল ইসলাম, ডা: অসীম ঘোষ, রাসেল মিয়া ও মাহবুব হাসান সানি।

বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল নদী ও জলাশয় রক্ষা, প্রতিবেশ রক্ষা, উন্নয়ণ ,সংরক্ষণ ও নদীর তীরবর্তী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী দল।

সরেজমিন নদী বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা,নদী মরে যাওয়া, নদী দূষিত হওয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করাও এ দলের অন্যতম একটি কাজ। নিরীহ, অবহেলিত নদী কেন্দ্রিক মানুষ, জলচর ও জল নির্ভর প্রাণীর সেবা ও বিরুপ পরিবেশ থেকে নিরাপদ-বাসযোগ্য আশ্রয় পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নদী পরিব্রাজক দল বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলে।’

শুরুটা হয়েছিল ২০১১ সালে। ১১ জন তরুণ-যুবক একত্র হয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় জাদুকাটা নদী ভ্রমণের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড শুরু করে। এরপর থেকে সময়-সুযোগ পেলেই পরিব্রাজক দলটি শখের বশে নদী সঙ্গমে বেরিয়ে পড়ে। কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় উপলব্ধি করে, শখের এই নদী ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আরো কিছু কাজ করার দায়িত্বটাও পালন করা উচিত। কারণ নাগরিক হিসেবে তাদের কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে। নদী ভ্রমণের এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, নদী ভরাট ও দূষণ বন্ধে মানুষের বিবেক জাগ্রত করার কাজটি এ ক্ষেত্রে হতে পারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ।

এমন নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকেই পরিব্রাজক দলটি ব্যাপক পরিসরে নদী ভ্রমণ শুরু করে। ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সাংগঠনিক রূপ দেয়। সংগঠনের নাম রাখে ‘বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button