ঈদের আগের দিন গরু ব্যাপারীদের টাকা লুট: চার ডাকাত গ্রেপ্তার, লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঈদের আগের দিন ঢাকায় গরু বিক্রি করে কিশোরগঞ্জে ফেরার পথে গাজীপুর মহানগরের সালানা এলাকায় সাতজন গরু ব্যাপারীর ১৩ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার এবং লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার করেছে করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সমম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ্।
বুধবার নাটোর সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ঢাকার সভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং তাদের হেফাজত থেকে একটি ট্রাক ও লুন্ঠিত এক লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তররা হলেন- নাটোরের সিংরাই থানার বনপুরী গ্রামের রজব আলী (৩০), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৩), নাটোর সদর থানার লক্ষীপুর খোলাবাজার এলাকার আবুল বাশার ওরফে বাদশা (৪৫) ও রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মহেলদা গ্রামের মাইনুল ইসলাম (৩০)।
সংবাদ সমম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, কোরবানির ঈদের আগের দিন গত ২০ জুলাই গরু ব্যাপারী মুনজুরুল হক ও তার প্রতিবেশী ৬ জন গরু ব্যাপারী ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে ১৪টি গরু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকার গুলশান নতুনবাজার গরুর হাটে যান। তারা ১৪টি গরু নগদ ১৩ লাখ টাকায় বিক্রয় করেন। পরে তারা গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে ফেরার উদ্দেশ্যে গুলশান থেকে একটি ট্রাকে ওঠেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের সালনা ব্রিজের কাছে পৌঁছলে ব্যাপরীদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে গামছা দিয়া চোখ, হাত-পা বেঁধে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ১৩ লাখ টাকা ও ৭টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। পরবর্তীতে সকলকে হাত-পা, চোখ বাঁধা অবস্থায় জয়দেবপুর থানাধীন বাশরী রোডের পশ্চিম পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় গত ২৭ জুলাই মঞ্জুরুল হক বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময়ে তাদের হেফাজত থেকে এক লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরো জানান, বাকি টাকা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, মামলা রুজুর ৭ দিনের মধ্যে ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়। বাকী ডাকাতদের শ্রীঘ্রই গ্রেফতারের প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ও গাজীপুর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমির হোসেন, জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নাছির উদ্দিন প্রমুখ।