নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত মোসাঃ ইসমত আরা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরাকে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
রোববার (১৩ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জানা গেছে, মোসাঃ ইসমত আরা বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আঞ্চলিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য: ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন আঞ্চলিক কর্মকর্তা হিসেবে মোসাঃ ইসমত আরাকে প্রেষণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ওইদিন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ময়মনসিংহে পদায়নের আদেশ বাতিল করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব কে. এম. আল-আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোসাঃ ইসমত আরাকে (১৭০০৫) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ময়মনসিংহে পদায়নের আদেশ জারি করা হয়েছিল।
(বিসিএস) ৩০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাপাসিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত: কাপাসিয়ায় দায়িত্ব পালন কালে তাঁর নানামুখী ভূমিকা সাধারণ লোকজনের মধ্যে প্রশংসার স্বাক্ষর রাখে। বাল্যবিয়ে, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, দারিদ্র বিমোচন, সরকারের সাফল্য নিয়ে উন্নয়ন মেলা, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, ভেজাল প্রতিরোধ ও মাদক নির্মূলে সফলতা রয়েছে ইউএনও মোসাঃ ইসমত আরার। কাপাসিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে জনসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের সঙ্গে দলগতভাবে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২০’ পেয়েছেন ইউএনও মোসাঃ ইসমত আরা।
২০২১ সালের ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জানা গেছে, মাতৃমৃত্যু শূন্যের কোটায় এনে সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কাপাসিয়া উপজেলা। মোসাঃ ইসমত আরা তিন বছর কাপাসিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে মাতৃমৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনেন। মাতৃমৃত্যু কমাতে কাপাসিয়া মডেল বাস্তবায়নে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি, বয়সসহ ২৭ ধরনের তথ্য নিয়ে গড়ে তোলা হয় তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইজ সফটওয়্যার), যা ‘গর্ভবতীর আয়না’ নামে পরিচিত। এর পাশাপাশি আছে ‘গর্ভবতীর গয়না’ নামের একটি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা। ‘গর্ভবতীর আয়না’ ও ‘গর্ভবতীর গয়না’র সমন্বয়ে চলে মাতৃমৃত্যুমুক্ত এই কার্যক্রম। দরিদ্র গর্ভবতীর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ‘মানবিক সহায়তা তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়। বিনামূল্যে রক্তের গ্রম্নপ পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় মাস অন্তর ইউনিয়নভিত্তিক ‘গর্ভবতী মা সমাবেশ’ অয়োজন করা হয়।
মাতৃমৃত্যু কমাতে কাপাসিয়া মডেলকে আদর্শ ধরে ১০০টি উপজেলায় সেটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিশ্বমঞ্চেও গুরুত্ব পাচ্ছে এই মডেল। জনসংখ্যা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সর্বোত্তম অনুশীলন (বেস্ট প্র্যাকটিস) হিসেবে এই মডেল জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে বিশ্বের ২৭টি দেশে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
মোসাঃ ইসমত আরার নিজ জেলা ফরিদপুর।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে…
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ইউএনও মোসাঃ ইসমত আরা