আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ইসির ‘কাঠগড়ায়’ আজমত উল্লা, ব্যাখ্যা চেয়ে আবারো চিঠি

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন বারবার সতর্ক করলেও যেন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য এই সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে গত ২৭ এপ্রিল শোডাউন করায় তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে কমিশন। আগামী ৭ মে আজমত উল্লা খানকে ইসিতে এসে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জন্য বলা হয়েছে।
কিন্তু এরমধ্যেই তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চাওয়ায় নতুন বিপদের মধ্যে পড়েছেন তিনি। আবার আজমত উল্লাকে তলব করেছে ইসি। একই দিনে (৭ মে) বিকেলে ইসিতে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নৌকার প্রার্থীকে।
পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নজরে বিষয়টি আনার জন্য তার একান্ত সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।
জানা গেছে, গাজীপুরের সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। সেখানে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এইভাবে ভোট চাওয়া সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ০৫ এর পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালার বিধি ৫ লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
এতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খানকে ইতঃপূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণা করার ফলে আচরণবিধিমালার ৫ বিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ৭ মে ২০২৩ তারিখ একই সময় (বিকাল ৩.০০ ঘটিকায়) ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে আজমত উল্লা খানের উপস্থিতিতে তার পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর গোচরে নেওয়ার জন্য তার একান্ত সচিবকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চিঠি পাঠানো হয়েছে।