‘শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে গাজা’ : জাতিসংঘ

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের হামলা জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে- এমনই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেমানবিক অস্ত্রবিরতি” প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলে, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড ভয়াবহ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা জোরদার হয়েছে। তারা দাবি করছে, তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা করছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে এবিসি নিউজকে বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে ইসরায়েলের হাতে। গতকাল সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের ৪৫০ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার স্থানও।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে। হামাসের হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি জনকে জিম্মি করার পর গাজায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার ফিলিস্তিনের লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এক দশমিক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেন, এই অর্থ গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যা এবং পূর্ব জেরুসালেম সহ পশ্চিম তীরের পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনির সহায়তায় ব্যয় করা হবে। রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে মিশর থেকে গাজায় কিছু পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করলেও গুতেরেস বলেন, সেগুলো আসলে পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, বিন্দু পরিমাণ সহায়তা সাগর পরিমাণ চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, ত্রাণবাহী পরিবহন গাজায় পূর্ণ মাত্রায় প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে গাজায় মাত্র ৪০০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে যেখানে যুদ্ধ শুরু আগে স্বাভাবিক সময়েই প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করতো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button