ভোটের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক ‘টু-জি’ করার পরামর্শ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ভোটের দিন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ‘টু-জি’ করা এবং ভোটের তিন দিন আগে থেকে মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ রাখার পরামর্শ এসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভায় এসব পরামর্শ ওঠে আসে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় সভা করে নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সব জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনেককে ভোটের কাজে সম্পৃক্ত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলে তারা। এ ছাড়া ভোট সামনে রেখে কোনো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার আশঙ্কার কথাও বলেন একজন কর্মকর্তা।

সভা সূত্র জানায়, সভায় নির্বাচনী প্রচারে হামলা-সংঘাতের বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। মাঠ পর্যায়ের বেশির ভাগ কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ১০ জন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তাব করেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতে না দেওয়া এবং ভিডিও করতে না দেওয়ার প্রস্তাব করেন। শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দেন। তিনি যুক্তি দেখান, অনেক নামমাত্র পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেন। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবও গুরুত্ব পায় বৈঠকে।

এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একজন নির্বাচন কমিশনার বৈঠকে বলেন, পর্যবেক্ষকদের জন্য নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা আছে। সাংবাদিকদের জন্যও পরিচয়পত্রে নির্দেশনা দেওয়া থাকে তাঁরা কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে সরাসরি সম্প্রচার না করে, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য কমিশনের নেই।

 

সূত্র: প্রথম আলো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button