আরও ক্ষমতা ও সুবিধা চায় মাঠ প্রশাসন
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রশাসনে নিজেদের কর্তৃত্ব আরও জোরদার করতে নতুন ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা চাইছেন জেলা প্রশাসক বা ডিসিরা। আগামী রবিবার শুরু হতে যাওয়া পাঁচ দিনের সম্মেলন উপলক্ষে তাদের যেসব প্রস্তাব কার্যপত্রে জায়গা পেয়েছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা রয়েছে।
সার্বিক নিরাপত্তার দাবি তুলে ডিসিরা একটি বিশেষায়িত সার্বক্ষণিক পুলিশ ফোর্স চেয়েছেন। কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার এখতিয়ার নিজেদের কাছে রাখা ছাড়াও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বাহিনীর আদলে পেতে চান জনপ্রশাসন ব্যাংক। একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উপজেলায় কর্মরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) তদারকির দায়িত্ব দিতে চান ইউএনওদের। এছাড়া সরকারি স্কুলে ভর্তিতে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য কোটা সুবিধা চেয়েছেন তারা। জ্বালানি খরচের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য মূল বেতনের সঙ্গে ঝুঁকিভাতা, ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের এখতিয়ার চাওয়াসহ ৩৩৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা।
পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এর আগে সাধারণত তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন হতো। এবার ডিসি সম্মেলন হবে পাঁচ দিনব্যাপী।
জেলা প্রশাসকদের জন্য জ্বালানি খরচের সীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করে বরিশালের ডিসি বলেছেন, জনগণের চাহিদার সঙ্গে ডিসিদের দায়িত্ব-কর্তব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জ্বালানি খরচও বাড়ানো প্রয়োজন। বর্তমানে ডিসিরা প্রতি মাসে ২০০ লিটার জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা সদরে ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের যাতায়াত অনেক বেশি হওয়ায় তাদের প্রটোকলের জন্য জ্বালানি খরচ বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি ভিআইপিদের প্রটোকলের জন্য যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রামের ডিসি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য মূল বেতনের সঙ্গে ঝুঁকিভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন নেত্রকোনা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ ও ঝালকাঠির ডিসি।
তাদের মতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের অধিক্ষেত্রের মধ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে থাকেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও বিভিন্ন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় তাদের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমি থেকে পাঁচ মাসের আইন ও প্রশাসন বিষয়ের প্রশিক্ষণের মেয়াদ আট মাস করে একাডেমি থেকে একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মৌলভীবাজারের ডিসি। তার মতে, এতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এসি (ভূমি) ন্যায় এসি (ফাইন্যান্স) পদ সৃষ্টি করে পদায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন নোয়াখালীর ডিসি।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ‘জনপ্রশাসন ব্যাংক’ নামে আলাদা ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন নোয়াখালীর ডিসি। তিনি বলেছেন, এতে কর্মকর্তাদের আর্থিক কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষায়িত একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন নরসিংদীর ডিসি। প্রস্তাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘সিভিল সার্ভিস কলেজ সিঙ্গাপুর’ আদলে গঠন করা যেতে পারে। এতে পাবলিক পলিসি, অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, সুশাসন, সোশ্যাল পলিসিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণার সুযোগ থাকবে।
ডিসি কার্যালয় ও সার্কিট হাউজের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিসিদের অধীনে একটি বিশেষায়িত সার্বক্ষণিক পুলিশ ফোর্স নিয়োগের প্রস্তাব করেছেন কক্সবাজার, কুমিল্লা, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গার ডিসি। তাদের মতে, ডিসি কার্যালয়ে উন্নয়ন সমন্বয় সভা, আইনশৃঙ্খলা সভাসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সভা প্রতিনিয়ত হয় বিধায় সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি দলও প্রায়ই ডিসিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যান। এছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যেকোনো সময় ওই ফোর্স ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ও বই যুগোপযোগী করার প্রস্তাব করেছেন বরগুনা, পটুয়াখালী ও ঢাকার ডিসি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলভুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, পাবনা, হবিগঞ্জ ও নাটোরের ডিসি। তাদের মতে, মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য আইনটি মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলভুক্ত হওয়ার প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিটি জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন গাইবান্ধা ও নরসিংদীর ডিসি। কেন্দ্র না থাকায় মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। দেশের প্রতি জেলায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করা হলে গরিব মাদকাসক্তদের চিকিৎসার সুবিধা হবে।
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। তিনি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হয়। অথচ সরকারি অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। এতে তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ধরনের কোটা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়া চালুকৃত বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) এবং বিএড কলেজ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন ঝিনাইদহের ডিসি। তিনি বলেছেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নামসর্বস্ব। শিক্ষকরা সরকারি টিটিসি থেকে যেভাবে প্রশিক্ষণ পান তা বেসরকারি টিটিসি থেকে ন্যূনতমও দেওয়া হয় না। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে। এরই মধ্যে অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাইয়ে জেলাপর্যায়ে কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেছেন তিনি। শহরাঞ্চলের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু সময়ের জন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন রংপুরের ডিসি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে দেয়াল ঘেঁষে মার্কেট তৈরি নিষিদ্ধ করার কথা বলেছেন ঢাকার ডিসি। তিনি বলেছেন, মার্কেটের কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হয়। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এ মার্কেটের আয়-ব্যয় নিয়ে অনেক সময় ব্যয় করেন।
উপজেলা শিক্ষা কমিটি পুনর্গঠন করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা এবং ইউএনওকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিয়েছেন ঝালকাঠির ডিসি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা কমিটির দায়িত্ব পুনর্বহালের জন্য সুপারিশ করেছেন কুমিল্লার ডিসি। এসব শিক্ষকের বদলি ইতোপূর্বে উপজেলা শিক্ষা কমিটির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন করা হতো। বর্তমান বদলিতে উপজেলা শিক্ষা কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
অনলাইন সাংবাদিকদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার সুপারিশ করেছেন গাইবান্ধার ডিসি। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের কোনো অনলাইন ডেটাবেইজ না থাকায় কেউ কেউ বিভিন্ন সময় হলুদ সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
টিআর কাবিটা ও কাবিখার বরাদ্দে সোলার খাতকে আলাদাভাবে না রেখে সোলার-ননসোলার খাতকে একত্র করার প্রস্তাব দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি। তিনি বলেছেন, অনেক উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় সোলারের চাহিদা অনেক জায়গায় নেই। টিআর, কাবিটা ও কাবিখায় আলাদাভাবে বরাদ্দ দেওয়ায় অনেক অপ্রয়োজনীয় স্থানে এসব বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে।
অনিয়ম প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলার স্বার্থে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) এসিআর ইউএনওদের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন গোপালগঞ্জের ডিসি। তিনি বলেছেন, কোনো কোনো পিআইও ইউএনওকে পাশ কাটিয়ে কাজ করার প্রবণতা থাকে।
জেলায় কর্মরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেয় সরকার। সরকারের পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ ক্ষমতা প্রদানের এখতিয়ার দেওয়ার কথা বলেছেন চট্টগ্রামের ডিসি। সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন লালমনিরহাটের ডিসি। তিনি বলেছেন, জিপি ও এজিপিরা সরকারপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন। কিন্তু তাদের পদ স্থায়ী না হওয়ায় তাদের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। সময়ে সময়ে আইন কর্মকর্তারাও পরিবর্তন হয়। এতে সরকারি স্বার্থ বিঘ্নিত হয়।
একজন করে ওয়ার্ডভিত্তিক গ্রাম পুলিশের পদে মহিলাদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ভোলা, কক্সবাজার ও নাটোরের জেলা প্রশাসক। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সচিবের বিচারিক ক্ষমতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ডিসি।
অনেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে দেখা যায়, চেয়ারম্যানরা নির্বাচনের আগে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা অথবা অন্য কোনো কারণে আদালতে মামলা করেন। অনেক সময় আদালত জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বিনা নির্বাচনে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এই অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হলে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ক্ষমতা দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ দায়িত্ব ডিসির কাছে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন বগুড়ার ডিসি। ইউএনওদের বাসভবনে সান্ধ্যকালীন অফিস চেয়েছেন মৌলভীবাজারের ডিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ফেইসবুক বা ইউটিউবে ধর্মীয় নেতাদের ভিডিও ধারণকৃত বক্তব্য আপলোড করা হচ্ছে। বক্তব্যগুলো কখনো কখনো অতিমাত্রায় নারীবিদ্বেষী, অতিরঞ্জিত বা বিকৃত বর্ণনা উপস্থাপনসহ নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে বিভিন্ন দল ও মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।
উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা রোধ করার সুপারিশ করেছেন লালমনিরহাটের ডিসি। তিনি জানিয়েছেন, ওই জেলায় ৪৭টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ইটভাটা উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে পরিচালিত তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বছরের পর বছর ইটভাটা পরিচালিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ইটভাটার লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন হবিগঞ্জের ডিসি। বর্তমানে ইটভাটার লাইসেন্স ফি ১ হাজার এবং নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, সরকারের নীতিনির্ধারক ও ডিসিদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে মোট ৫৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। কার্যঅধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। এবার ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক হবে।
তিনি জানান, এবার সম্মেলনে মোট ২৯টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্যঅধিবেশন ২৪টি। এছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, একটি মুক্ত আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।
এবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৩৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এর বাইরেও ডিসিদের তাৎক্ষণিক যদি কোনো প্রস্তাব থাকে সেগুলো অধিবেশনে উপস্থাপন হতে পারে। ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন ডিসিরা। ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের (স্পিকার না থাকায়) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডিসিরা দিকনির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন শফিউল আলম। ১৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সকাল পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ডিসিরা বৈঠক করবেন। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হারের বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, ২০১৮ সালে বাস্তবায়ন হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর