গাজীপুরে কোভিট-১৯ শনাক্তে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ’পিসিআর’ ল্যাবের উদ্বোধন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিট-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের কাশিমপুর তেতুইবাড়ি এলাকায় অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুন) ল্যাবের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

উদ্বোধন শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিক অধ্যুষিত গাজীপুরে করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব স্থাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৩ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা যাবে। যার ফলাফল ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে দেওয়া যাবে। এতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া সম্ভব হবে। ল্যাবটি স্থাপনের ফলে করোনা প্রতিরোধে সরকারের সক্ষমতা বাড়বে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত ফি ৪ হাজার টাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করা হবে।

এসময় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল টাস্টের নির্বাহী সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৩ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা যাবে ও ফলাফল ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেয়া সম্ভব বলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষা করে এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হবে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটির মূল ক্যাম্পাসের বাইরে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করায় এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য রোগীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি নেই। এখানে জীবানুনাশক স্প্রে, জিইনফেকশন টানেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থাপন করে হাসপাতালে জীবানুমুক্ত পরিবেশ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের এ ল্যাবটিতে ভাইরোলজিস্ট কামরুন্নাহারের তত্বাবধানে করোনা নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

হাসপাতালের ব্যবসা উন্নয়ন সার্ভিসের কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ২০১৩ সালে ১৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং মালয়েশিয়ার কেপিজে-এর সহায়তায় এ হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়েছেল। এখানে সার্বক্ষণিক ৬১জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও ১৭৫জন সেবিকা কাজ করছেন। এখানে নাক-কান,গলা, চক্ষু, অর্থোপেডিকস, হার্টের রোগী, সড়ক দূর্ঘটনার রোগী, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগসহ বিভিন্ন ধরণের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button