মার্কিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তের নির্দেশ

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনে পরাজয় মানছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি হয়েছে। সত্যতা যাচাই করতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যত স্পষ্ট হচ্ছিলো, ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক টুইট নাকচ করে দিচ্ছিল সেই ফলাফল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে পরাজিত রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বক্তব্য, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এবং আসলে নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করেছেন।

এই দাবির রেশ ধরেই সোমবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার কেন্দ্রীয় আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোট গণনায় অস্বাভাবিকতার তদন্ত করতে। সবকটি ভোট গণনা সরকারিভাবে শেষ হবার আগেই এমন নির্দেশ দিলেন তিনি, যা আমেরিকার প্রচলিত কেন্দ্রীয় নীতির বিপরীত।

দেশজুড়ে বিভিন্ন অ্যাটর্নিদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে উইলিয়াম বার লেখেন, ‘‘যেহেতু আমাদের ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমি নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ভোটসংক্রান্ত অস্বাভাবিকতার তদন্ত করবার এক্তিয়ার আপনাদের দিচ্ছি। যদি এমন কোনো গুরুতর অস্বাভাবিকতার অভিযোগ এসে থাকে, যা কোনো রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে পারবে বলে আপনাদের ধারণা, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও পর্যালোচনা করা যেতে পারে।’’

আইনবহির্ভূত পদক্ষেপ?

নির্বাচনের ফলাফল ও ভোট গণনা বিষয়ে তদন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত পুরোটাই থাকে রাজ্যের নিজস্ব এক্তিয়ারে। ভোট গণনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়া ও ফলাফল নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু উইলিয়াম বার এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘এতদিন ধরে চলে আসা রীতিগুলি আসলে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নয়।’’ ফলে যদি তদন্তকারীদের মনে হয় যে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেবার মতো কিছু আছে, সেক্ষেত্রে তাদের সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করা উচিত।

বার আরও বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগকে সাবধানতার সাথে পরিচালনা করতে হবে, এবং আন্দাজ ও নিছক ধারণার ওপর ভিত্তি করে ওঠা অভিযোগ কখনোই কেন্দ্রীয় তদন্তে জায়গা পাবে না।.’’

বারের চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচার বিভাগের নির্বাচনি অপরাধ দপ্তরের প্রধান রিচার্ড পিলগার পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু মিচ ম্যাককনেলসহ একাধিক রিপাবলিকান নেতৃত্বের মত, এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাবার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button