ক্ষতিকর পারদ ব্যবহার করে লতা হারবাল: ব্যবস্থাপকের কারাদণ্ড, কারখানা সিলগালা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমসহ অন্য প্রসাধন সামগ্রীতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পারদ ব্যবহার করছে লতা হারবাল কোম্পানি।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে কোম্পানির কারখানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত লতা হারবাল কম্পানির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। পূবাইলের মাজুখান হারবাইদ এলাকায় কোম্পানির কারখানা অবস্থিত। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ পারদ মিশ্রিত ক্রিম ও কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক আইয়ুব আলীর ছোট ভাই ও কারখানার ব্যবস্থাপক শাফিজুল ইসলামকে (৩৭) দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান ও আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার পাশা বলেন, ‘কারখানাটিতে কোনো প্রশিক্ষিত রসায়নবিদ নেই। কোম্পানিটির উৎপাদিত ক্রিমের মোড়কে ভেষজ উপকরণের নাম লেখা থাকলেও হাইড্রোকুইনাইনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ক্রিম বানানো হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ও বিএসটিআইর পরীক্ষাগারেও লতা হারবালের ক্রিম পরীক্ষা করে ক্ষতিকর পারদের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে পারদ থাকায় তা খুব দ্রুত ত্বক ফর্সা করে। মান পরীক্ষার জন্যই এসব ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।