নদী দখলকারীদের হালনাগাদ তালিকা তলব করেছে হাইকোর্ট

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সারা দেশের নদী দখলকারীদের হালনাগাদ তালিকা তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
আদেশে নদী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের করা অবৈধ দখলদারদের তালিকা হালনাগাদ করে তা আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তুরাগ নদের তীরবর্তী ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশ পালন করে আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আদালতে আবেদন করে। সংস্থাটির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ২০১৬ সালে একটি রিট করে এইচআরপিবি। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত বিচারিক তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি) কমিটি গঠন করে নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনার তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলেন। পরবর্তী সময়ে গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একটি প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে প্রায় ৩০টি ব্যক্তিগত ও শিল্প প্রতিষ্ঠান দখলদারদের নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। ওই রিট পিটিশনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ‘নদীর জীবন সত্তা’ ঘোষণা করে ১৭ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বিষয়টি চলমান (কন্টিনিউয়াস ম্যান্ডমাস) হিসেবে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে এই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে, আদালত কয়েকটি নির্দেশনা ও মতামত দিয়ে আপিলটি নিষ্পত্তি করেন। ওই রায়ের পরে বেশ কয়েক বছর অতিক্রান্ত হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হয়নি। ফলে নদী তীরবর্তী অবৈধ প্রতিষ্ঠানসমূহ উচ্ছেদ না হওয়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত শুনানির জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।