শ্রীপুর থেকে অপহৃত ‘তিন’ বান্ধবী এখন রাজশাহীতে
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শ্রীপুর উপজেলার ‘মাওনা বহুমুখী স্কুলের’ সপ্তম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে (কিশোরী) অপহরণ করে রাজশীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে সাদা রঙের একটি হাইএস মাইক্রোতে করে তাদের অজ্ঞান করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে এই তিন জনের মধ্যে এক জন সুকৌশলে গাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
রাজশাহীতে উদ্ধার হওয়া মেয়েটির নাম মিতা আক্তার ওরফে বর্ষা। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। সে শ্রীপুরের মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি শ্রীপুরের শান্তিনগর এলাকায়। বর্ষার বাবার নাম মতিউর রহমান। তার সঙ্গে অপহরণ হওয়া ওপর দুই শিক্ষার্থীর নাম জ্যোতি ও মেঘলা। তারাও বর্ষার সঙ্গেই পড়ে। তাদের পুরো পরিচয় সে তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেনি।
সূত্র জানায়, রাজশাহীর তালাইমারি মোড় এলাকায় যানজটের কারণে মাক্রোটি আস্তে চালানোর সময় অপহৃতদের একজন গাড়ি থেকে লাফ দেয়। এ সময় মাইক্রোটি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গাড়ি থেকে লাফ দেওয়া মেয়েটিকে উদ্ধার করে মতিহার থানায় নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পালাতে সক্ষম হওয়া সেই মেয়েটি মতিহার থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আরএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, গাজিপুরের শ্রীপুর এলাকার শান্তিনগর গ্রামের তিন বান্ধবী সকাল নয়টায় স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। তারা মাওয়া বহুমুখী স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ সময় সাদা হাইএস মাইক্রোতে থাকা ১০ থেকে ১২জন তাদের রাস্তা থেকে তুলে নেয়।
এরপর তিনজন শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান করে সেই গাড়িতেই রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। তালাইমারি এলাকায় গাড়িটি আসলে অপহৃত তিন জনের মধ্যে এক জন পালাতে সক্ষম হয়। তাকে উদ্ধার করে মতিহার থানায় রাখা হয়েছে। মেয়েটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন সেই গাড়িটিকে ও অপহৃত বাকি দুইজনকে উদ্ধারের জন্য মাঠে কাজ শুরু করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহৃত তিন জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনাটি প্রকাশের পর রাজশাহী ও এর আশপাশের থানা ও ট্রাফিক বিভাগসমূহে সন্দেহভাজন সেই সাদা হাইএস মাইক্রোসহ সংশ্লিষ্টদের ধরার জন্য হাই এ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসান হয়েছে।